সয়াবিনের নানা ভিটামিন ও পুষ্টিগুণের আধার। জেনে নিন সয়াবিনের উপকার
১ঃ সয়াবিন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সয়াবিন ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের খনি। বিশেষ করে
থায়ামিন, নিয়াসিন, ফলিক অ্যাসিড ও
রিবোফ্লেভিন। এই ভিটামিন হার্ট ও লিভারের সক্রিয় কার্যকলাপ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩ঃ প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে রয়েছে ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। ভিটামিন ই ও লেসিথিনের মতো
ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সয়াবিন বার্ধক্যের গতি
মন্থর করতে সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল আছে।
৪ঃ প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিনে পাওয়া যায় ২৮০
মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ২৭৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৭০৪ মিলিগ্রাম ফসফরাস। তাই সয়াবিন দাঁত ও হাড় মজবুত রাখে। আয়রন রক্তের সুস্থতা বজায় রাখে। সয়াবিন ভালো করে সেদ্ধ করে খান। কারণ হজমে সাহায্যকারী
এনজাইম ট্রিপসিনের কার্যকলাপ কিছুটা ব্যাহত করে
সয়াবিন। ফাইবার
সমৃদ্ধ সয়াবিন হার্টের জন্য খুব ভালো।
৫ঃ বয়ঃসন্ধিকালের মেয়েদের ডায়েটে সয়াবিন রাখুন যথেষ্ট পরিমাণে। পরবর্তীকালে ব্রেস্ট
ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমে।
৭ঃ সয়াবিন ফারমেন্ট করে সয়া সস তৈরি করা হয়। সয়া মিল্কের মতো সয়া
সস উপকারী নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়া সসে
আইসোফ্ল্যাবনসের পরিমাণ ভাত্র ১.৬ মিলিগ্রাম এবং
এতে লবণের পরিমাণও বেশি। সয়াবিনে উপস্থিত আইসোফ্ল্যাবনস মেনোপজের লক্ষণ
যেমন হট ফ্লাশ, বেশি ঘাম ইত্যাদি কমাতে,
প্রস্টেট ক্যান্সার, বড়দের অ্যাকনে
সারাতে সাহায্য করে।
৮ঃ প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন থেকে পাওয়া যায় ৪৩২ কিলোক্যালরি। টাইপ টু হাইপার কোলস্টেরোলমিয়ার
রোগীরা লো লিপিড, লো কোলস্টেরল ডায়েট মেনে চলেন।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে তাদের ডায়েটে সয়াবিন রাখায় প্লাজমা কোলস্টেরলের পরিমাণ কমে গিয়েছে
২৩-২৫%।
৯ঃ খাদ্যতালিকায় ডিমের অ্যালবুমিন বা দুধের ক্যাসিন থাকলে যত সহজে আয়রন শোষণ হয়, সয়াবিন থাকলে তত ভালোভাবে রক্তে আয়রন শোষিত
হয় না। তাই সয়াবিনের সাথে খাদ্যতালিকায় ভিটামিন
সি সমৃদ্ধ খাবারও রাখুন। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সয়া স্পাউট উপকারী। সালাদ,
স্যুপে
খেতে পারেন। ময়দার পরিবর্তে সয়া
ফ্লাওয়ার দিয়ে রুটি তৈরি করতে পারেন।

0 Comments