পেস্তা বাদাম, কাচা অবস্থায় প্রতি ১০০ গ্রাম (৩.৫ আউন্স) পুষ্টিগত মান
সুত্র উকিপিডিয়া…….
১.পুষ্টিগুণ: ফাইবার, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট,
ভিটামিন বি৬ ও পটাশিয়াম থাকার কারণে পেস্তা পুষ্টিগুণে ভরপুর এক
খাবার। ২.অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: পেস্তার মধ্যে থাকে দুটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট
পলিফেনল ও টোকোফেরল। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের
মাত্রা বেশি থাকায় দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও উপকারি পেস্তা।
৩.ক্যালোরি ও প্রোটিন: পেস্তায় ক্যালোরির পরিমাণ যেমন কম, তেমনই এই বাদাম হাই-প্রোটিন সমৃদ্ধ। অন্যান্য বাদামের তুলনায় পেস্তায় অ্যামাইনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি।
৪.ওজন: এনার্জি জোগানোর পাশাপাশি যে কোনও বাদাম ওজন বশে রাখতেও
সাহায্য করে। পেস্তারও
রয়েছে এই গুণ।
৫.পেট:
পেস্তা খাদ্যনালীতে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে
পেট পরিষ্কার থাকে।
৬.রক্ত চাপ:
প্রতিদিন ডায়েটে পেস্তা থাকলে তা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
রাখতে সাহায্য করে। পেস্তা
রক্তে এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে ও এলডিএল বা ব্যাড কোলেস্টেরলের
মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৭.রক্তনালী: পেস্তা রক্তনালীর এন্ডোথেলিয়ামের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই
এন্ডোথেলিয়াম ভ্যাসোডাইলেশন অর্থাত্ রক্তনালীর সংকোচন, প্রসারণের জন্য দায়ী।
৮.হৃদরোগের ঝুঁকি :পেস্তাবাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকরী। ফলে পেস্তা বাদাম হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে কার্যকর।
৯.ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়: প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমান পেস্তা বাদাম খেলে ত্বক ফর্সা ও
উজ্জ্বল হয়।
১০.ডায়বেটিস:যারা ইনসুলিনের ওপর নির্ভরশীল নয়, এধরনের
ডায়বেটিসে যারা আক্রান্ত পেস্তা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর তেল তাদের জন্য বিশেষভাবে
উপকারী।
১১.কোষ্ঠকাঠিন্য: অন্য সকম বাদামের চাইতে পেস্তায় রয়েছে অধিক পরিমাণে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল। এতে উপস্থিত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে
সাহায্য করে।

0 Comments