মিষ্টি কুমড়োর বীজের পুষ্টিমান
মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে উচ্চ মাত্রার
প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। এছাড়া এতে
রয়েছে অনেক বেশী পরিমান জিংক যা
প্রতিরোধক
ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, উদ্দিপকের উন্নয়নে, কোষের সঠিক বিভাজনে, ঘুম বাড়াতে, দৃষ্টিশক্তি, চকচকে উজ্জ্বল
চুল ও সুন্দর ত্বক, এবং মেজাজ
ভালো করতে বেশ ভালো ভূমিকা রয়েছে। এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের
জন্যই খুবই উপকারী। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলেস্টেরল
কম রাখতে সাহায্য করে। আর্টারির দেয়ালে চর্বির স্তর জমতে বাধা প্রদান
করে। ফলে মিষ্টি কুমড়া নিয়মিত খেলে হৃদরোগও প্রতিরোধ করা যায়।
৩ঃ ফাইবার,
ভিটামিন ও খনিজের সেরা উৎস হচ্ছে কুমড়ার বীজ। এ
কারণে এটি খেলে হজম ভাল হয়। কুমড়ার বীজে ফসফরাসও প্রোটিনের
একটি চমৎকার উৎস যা ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নিউট্রিশনিস্টদের মতে ৩০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়োর বীজের প্রায় ৫ গ্রাম
প্রোটিন থাকে। মিষ্টি কুমড়োর বীজ খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরে থাকার
অনুভূতি থাকে।
৪ঃ কুমড়া বীজ অতিরিক্ত ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি ওজন বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর ভুমিকা রয়েছে, খুব বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ ১ কাপ মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে ২৮৫ ক্যালরি।
৫ঃ কুমড়ার বীজ ওমেগা থ্রি’র ভালো উৎস হওয়ায় এটি মাংসপেশী নরম করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা জিঙ্ক এবং ফসফরাস হাড় মজবুত করে, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়।
৬ঃ কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে তখন মানসিক চাপও কমে যায়।
১ঃ কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেশিয়াম , জিঙ্ক এবং ফ্যাটি
অ্যাসিড থাকে -যা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখার জন্য দারুন উপকারী। কিছু গবেষণায়
দেখা গেছে, নিয়মিত কুমড়ার বীজ খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমে। অন্য এক গবেষণা বলছে, কুমড়ার বীজ উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও কার্যকরী।
২ঃ যাদের শরীরে ম্যাগনেশিয়াম কম থাকে তাদের
ডায়াবেটিস দেখা দেয়। দিনের চাহিদা প্রায় ৩৭ ভাগ ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায় ৩০
গ্রাম পরিমাণ কুমড়ার বীজে।এ কারণে নিয়মিত এটি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা
যায়।
৪ঃ কুমড়া বীজ অতিরিক্ত ওজন কমাতে যেমন সাহায্য করে তেমনি ওজন বৃদ্ধিতে বেশ কার্যকর ভুমিকা রয়েছে, খুব বেশি পরিমাণে খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ ১ কাপ মিষ্টি কুমড়োর বীজে রয়েছে ২৮৫ ক্যালরি।
৫ঃ কুমড়ার বীজ ওমেগা থ্রি’র ভালো উৎস হওয়ায় এটি মাংসপেশী নরম করতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা জিঙ্ক এবং ফসফরাস হাড় মজবুত করে, অস্থিসন্ধির ব্যথা কমায়।
৬ঃ কুমড়ার বীজে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় এটি শরীরের ইলেক্টোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকে তখন মানসিক চাপও কমে যায়।
৭ঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেমন-
ক্যারোটোনয়েডস এবং ভিটামিন বি এর ভাল উৎস হওয়ায় কুমড়ার
বীজ শরীরের যেকোন অংশকে ফ্রি রেডিকেল থেকে রক্ষা করে। এসব ফ্রি রেডিকেল
শরীরের সেল, প্রোটিণ এবং ডিএনএ’র ক্ষতি করে। এছাড়া যেকোন ধরনের
টিউমার , সংক্রমণ এবং অকালে বুড়িয়ে যাওয়ার জন্যও এসব ফ্রি রেডিকেল দায়ী।
কুমড়ার বীজের মতো এমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পূর্ণ খাবার খেলে এসব ফ্রি রেডিকেল
প্রতিরোধ করে শরীর সুস্থ ও শক্তিশালী রাখা যায়।
৮ঃ বিজ্ঞানীরা গবেষণায় পেয়েছেন যে এই বীজটির
ক্যান্সারের কোষের বিরুদ্ধে কাজ
করার আশ্চর্য রকমের ক্ষমতা রয়েছে। বিভিন্ন
ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় মিষ্টি কুমড়োর বীজের বেশ সফলতা রয়েছে এবং এটির
রয়েছে শক্তিশালী প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ।
৯ঃ জার্মান বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, যেসব মহিলারা
মেনোপজ অবস্থায় থাকেন তারা যদি বেশি করে মিষ্টি কুমড়োর বীজ খান তবে তাদের
স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২৩% কম থাকে। এছাড়া মিষ্টি কুমড়োর বীজের তেল প্রোস্টেট
বড় হয়ে যাওয়ার চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী। এতে থাকে অনেক বেশি পরিমানে
ফাইটোকেমিক্যাল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র্যাডিকেলের
বিরুদ্ধে কাজ করে এবং ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

0 Comments