২ঃ বিশাল আকারের তথ্য নিয়ে বৈজ্ঞানিক পর্যালচনায় দেখা গেছে,
যবের ছাতু খাবারে তৃপ্তি বাড়ায়, খাদ্যের গুণগতমান রক্ষা করে, শরীর ঠাণ্ডা করে, বল ও পুষ্টি বৃদ্ধি করে, শুক্র বৃদ্ধি করে ও হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করাসহ হৃদপিণ্ড
সম্বন্ধীয় এবং সাধারণ বিপাকীয় ব্যবস্থা ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া দেহের
ঘাম, শরীরের দাহ (জ্বালা)
কফ ও পিত্ত নাশ করে। খিদে বাড়িয়ে দেয় সারক (মল ও মূত্র নি:সারণ করে) বায়ু নি:সারণ করে।
৩ঃ যবের রুটি সহজে হজম হয়, শরীরের
বল ও শুক্র বৃদ্ধি করে, কফ
নাশ করে, বায়ুওমল বৃদ্ধি করে।
৪ঃ গবেষণায় দেখা গেছে যবের ছাতুর বেটা-গ্লুক্যান আঁশ খাবারে
পরিতৃপ্তি থাকতে
সাহায্য করে এবং উপকারী ‘গাট’
ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৫ঃ ২৯টি গবেষণা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যবের ছাতু অন্ত্রের
কিছু রোগের ক্ষেত্রে
উপকারী হতে পারে। যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য এবং প্রদাহজনীত পেটের রোগ।
৬ঃ যবের ছাতু কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি সম্বন্ধীয় সাম্প্রতিক
এক আকর্ষণীয়
গবেষণায় দেখা গেছে এটা সার্বিকভাবে কোলেস্টেরল কমায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের ঘনত্ব
কমিয়ে দেয়। গবেষণায় বলা হয়, বিশেষভাবে
উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত মানুষের উপর এই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। ব্রিটেনের
স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ আবেরডিনের গবেষণার প্রধান লেখক ফ্র্যাঙ্ক থিস বলেন,
“সার্ভিং হিসেবে ৬০ গ্রাম যবের ছাতু খেলে উল্লেখযোগ্যভাবে
কোলেস্টেরল কমাতে পারে।”
ইউনানী মতেঃ
ইউনানী শাস্ত্রে যব ঠাণ্ডা আর রুক্ষ। যব স্বাদহীন, মলবন্ধ কারক, রক্তপিত্ত কমিয়ে দেয়। নাড়ির গতি ধীর করে, তৃঞ্চা শান্ত করে। পিত্তবৃদ্ধি, কাশি, মাথাব্যথা, হার্টেও অসুখ, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, জ্বর রোগ যব ব্যবহার করা হয়। বৈজ্ঞানিক মতে: যব অশক্ত আর অসুস্থ মানুষের আর্দশ পথ্য।
ইউনানী শাস্ত্রে যব ঠাণ্ডা আর রুক্ষ। যব স্বাদহীন, মলবন্ধ কারক, রক্তপিত্ত কমিয়ে দেয়। নাড়ির গতি ধীর করে, তৃঞ্চা শান্ত করে। পিত্তবৃদ্ধি, কাশি, মাথাব্যথা, হার্টেও অসুখ, দাঁতের মাড়ি ফুলে যাওয়া, জ্বর রোগ যব ব্যবহার করা হয়। বৈজ্ঞানিক মতে: যব অশক্ত আর অসুস্থ মানুষের আর্দশ পথ্য।
সুস্থ থাকতে যবের ব্যবহারঃ
১ঃ ডায়বেটিস রোগীদের পক্ষে যবের আটা বেশি উপকারী। যবের আটা খেলে
রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় না।
২ঃ যারা মোটা হয়ে যাচ্ছেন তাঁরা যাদি চাল গমের বদলে যবের আটার
রুটি খান মেদবৃদ্ধি
কমবে। ওই রুটি খেতে হবে টক দইয়ের সঙ্গে কিংবা মেথির শাক বা নটেশাকের তরকারি
দিয়ে। সঙ্গে মুগের ডাল ও খেতে পারেন।
৩ঃ যব খেলে প্রস্রাব বেশি হয়- অতএব যারা মূত্রকৃচ্ছ্রতায়
ভুগছেন তাদের পক্ষে ভাল।
৪ঃ যবের আটা শুকনো তাওয়ায় সেঁকে ঠাণ্ডা জলে গুলে যদি অল্প ঘি
মিশিয়ে (বেশি পাতলা বা ঘন হবে
না) খাওয়া যায় তবে অনেক উপকার হয় এবং তাতে তৃঞ্চা, দাহ ও রক্তপিত্ত দূর হয়।
৫ঃ যব আর মুগের ডালের জুস তৈরী করে খেলে আন্ত্রিক উগ্রতা শান্ত
হয় এবং পেটের অসুখে (অতিসার) উপকার হয়।
৬ঃ যবের আটা আর চিনি সমান সমান পরিমাণে মিশিয়ে খেলে বার বার
গর্ভপাত হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়।
৭ঃ যব,তিল
আর চিনি সমান পরিমাণে নিয়ে গুড়ো করে মধু মিশিয়ে খেলে ও গর্ভপাতের ভয় থাকে না।
৯ঃ অল্প পরিমাণে যবক্ষার খেলে শূল,গুম্ব,লিভারের
অসুখ,প্লীহার অসুখ,আর অজীর্ণ দূর হয়।
১০ঃ খুব অল্প যবক্ষার ঘি মিশিয়ে চাটলে এবং তার পাঁচ মিনিট পরে
ঠান্ডা জল খেলে
বা ঘোল খেলে মূত্রদাহ(প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালা করা) মূত্রকৃচ্ছ্র (প্রস্রাব কম হওয়া) এবং পাথর রোধের
(কিডনি বা গলব্লাডারে পাথর) উপকার হয়।
১১ঃ তাওয়ায় সেঁকে যবের আটা, ষষ্ঠিমধু বেটে নিয়ে জলে ধুয়ে নেওয়া ঘি মিশিয়ে প্রলেপ দিলে
রক্তবাত (ত্বকের বা চর্মেও জ্বালা বা প্রদাহ রোগ) সারে।
১২ঃ যব পুড়িয়ে তিল তেলে ফুটিয়ে নিয়ে প্রলেপ দিলে অগ্নিদগ্ধ ব্রণ
(আগুনে পোড়া ঘা) সারে। যবের ছাতু শরীরে শক্তি জোগাতে প্রায় অদ্বিতীয় বলা যায়। প্রায় শুধু
ছাতু খেয়েই শ্রমিকেরা সারাদিন ধরে দুরূহ পরিশ্রম করেন। কাজে কাজেই যবের
শুধু পথ্য হিসেবেই নয়‘আহার’
হিসেবেও সমাদূত হওয়া উচিত। সুতরাং যবের ছাতু দিয়ে তৈরি যে কোনো খাবারই
শরীরের জন্য উপকারী।
খাওয়ার নিয়ম:
জলের সঙ্গে পাতলা করে গুলে খেতে হবে। শক্ত করে মেখে দলা পাকিয়ে খেলে অর্জীন হয়।
জলের সঙ্গে পাতলা করে গুলে খেতে হবে। শক্ত করে মেখে দলা পাকিয়ে খেলে অর্জীন হয়।
সূত্র : আযূর্বেদ ও ইউনানী শাস্ত্র।

0 Comments